সন্তানের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব মা-বাবার। এ বিষয়ে মা-বাবা এবং সন্তানের মধ্যে সরাসরি আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সন্তান কতক্ষণ অনলাইনে সময় কাটাবে,সেটা নির্ধারণ করে দেয়া মা-বাবার জন্য ভালো একটি আইডিয়া। বিশেষ করে অনলাইনে অনেক ভালো ও মজার অ্যাক্টিভিটি আছে,যা সন্তানদের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

টিনএজারদের জন্য অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কথা

টিনএজারদের জন্য অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কথা

শুরুতে প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা: টিনএজাররা প্রতিদিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যয় করছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্মে প্রবেশের আগেই সন্তানের সঙ্গে প্রযুক্তির নানা দিক নিয়ে আলোচনা করুন। এতে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বিষয়ে বুঝতে পারবে এবং অনলাইনে নিরাপদ থাকবে।

টিনএজারদের জন্য অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কথা

টিনএজারদের জন্য অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কথা

প্যারেন্টাল কন্ট্রোল: টিনএজাররা কৌতূহলী এবং বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের অনেক অজানা বিষয়ে জানার আগ্রহ বেড়ে যায়। তাই আপনার সন্তান যাতে কোনো অ্যাডাল্ট সাইট ভিজিট না করে কিংবা তাদের অনলাইনে ভুলবশত কোনো অ্যাডাল্ট কনটেন্ট না আসে, সেজন্য মোবাইল, ট্যাবলেট কিংবা ল্যাপটপের পাশাপাশি ব্রডব্যান্ড সংযোগে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সিস্টেম বা সফটওয়্যার ইনস্টল করুন। এর মাধ্যমে আপনার সন্তান কতক্ষণ অনলাইনে সময় ব্যয় করবে, কোন ধরনের কনটেন্টে প্রবেশ করতে পারবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

টিনএজারদের জন্য অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কথা

টিনএজারদের জন্য অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কথা

ইতিবাচক ও বাস্তবধর্মী হতে শেখান: পড়াশোনা কিংবা কোনো বিষয়ে শেখার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সহায়ক ভূমিকা রাখে। আপনার সন্তান কোন ওয়েবসাইটগুলো পছন্দ করে তা আপনাকে দেখাতে উৎসাহিত করুন এবং জানতে চান তারা সেখান থেকে কী শিখছে। আপনার সন্তান ভুলবশত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত কনটেন্ট দেখে ফেললে, তা নিয়ে রাগারাগি বা তাকে অপমান না করে বুঝিয়ে বলুন। যাতে সে আপনার সামনে সেগুলো নিয়ে কথা বলতে দ্বিধাবোধ না করে।

অনলাইন সময় ও ব্যবহারবিধি ঠিক করে দিন: আপনার সন্তানকে সময় বেঁধে দিন দিনের কতটুকু সময় অনলাইনে থাকতে পারবে। কোন কোন ওয়েবসাইট, অ্যাপগুলো তারা ব্যবহার করতে পারবে এবং কোন কাজগুলো অনলাইনে করতে পারবে। অনলাইন গেমিংয়ের সময়, মেসেজিং কিংবা কারো সঙ্গে যোগাযোগ করার সময় তাদের বাচনভঙ্গি এবং আচরণ কেমন হওয়া উচিত তা বুঝিয়ে বলুন। আপনার সন্তানকে এটিও জানাতে হবে যে, কলেজ কর্তৃপক্ষ বা চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোফাইল যাচাই করে এবং অনলাইন কনটেন্ট রিমুভ করা কঠিন। তাকে বুঝিয়ে বলুন অনলাইনে যেন এমন কোনো আচরণ না করে, যা সে সামনাসামনি কখনো করবে না।

টিনএজারদের জন্য অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কথা

টিনএজারদের জন্য অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কথা

সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিন: আপনার সন্তানকে প্রযুক্তি পণ্যের ভালো-মন্দ দিকগুলো নিয়ে উপদেশ দিন এবং ব্যবহারের নিয়ম জানিয়ে দিন। সন্তানের হাতে প্রথম মোবাইল ফোন দেয়ার দিনই নিয়মগুলো ঠিক করে দেয়ার সঠিক সময়। সন্তানের কাছে আদর্শ মডেল হতে চেষ্টা করুন: আপনার সন্তানকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের বিষয়ে সময় ঠিক করে দিতে হলে আপনাকেও তা মেনে চলতে হবে। ঠিক করে দিন রাত ১০টার পর ফোনে কাউকে মেসেজ পাঠানো যাবে না কিংবা খাবার টেবিলে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না এবং নিজেও এসব নির্দেশনা মেনে চলুন। পাশাপাশি তাকে এটিও বোঝাতে হবে সব নিয়ম বড় ও ছোটদের ক্ষেত্রে এক নয়।

[ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস ওয়েবসাইট অবলম্বনে ]