কারণঃ

হামে আক্রান্ত শিশুর কাছ থেকে এই রোগের জীবানু বাতাসের মাধ্যমে সুস্থ শিশুর শরীরে প্রবেশ করে এবং হাম রোগ সৃষ্টি করে।

জীবানুর নামঃ

হাম ভাইরাস (Measles virus)

লক্ষণঃ

১-৩ দিন: বেশী জ্বর, সর্দি, কাশি, চোখ লাল হয়ে যায় এবং পানিতে টল টল করে

চতুর্থ দিন: জ্বর কমে আসে মুখে এবং শরীরে লালচে দানা দেখা দেয় হামে দানা উঠার ৩/৪ দিন পর দানা কালচে হয়ে একসময় খুসকির মতো হয়ে ঝরে যায়।

ভয়াবহতাঃ

হামের ফলে শিশু নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও পুষ্টিহীনতায় ভোগে। কান পাকা রোগ হতে পারে। শিশুর রাতকানা রোগ দেখা দিতে পারে, এমনকি চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। হামের নানা জটিলতার কারণে অনেক শিশু মারও যায়।

প্রতিরোধঃ

শিশুর ৯ মাস বয়স পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে তাকে এক ডোজ হামের টিকা দিলে সে হাম রোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে । তবে এই টিকা অবশ্যই এক বৎসর পূর্ণ হওয়ার আগেই দেওয়া উচিত। পুষ্টিহীন শিশুরা হামের পরে মারাত্নক রোগ পরবর্তী জটিলতার সম্মুখীন হয়। পুষ্টিহীন শিশুদের পুষ্টিকর পরিপূরক খাবার দিলে তা তাদেরকে হাম পরবর্তী অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। হামে আক্রান্ত শিশুকে অবশ্যই এক ডোজ ভিটামিন- এ খাওয়াতে হবে।

তথ্যসূত্র: মা ও শিশুর স্বাস্থ্যবার্তা।