অবশ্য অনেক সময় দেখা যায় শৈশবে আঙুল চোষার অভ্যাস থাকলে বড় হয়েও সেটি দূর করা যায় না। তাই শিশু একটু বড় হয়ে গেলে মাঝে মাঝে আঙুল চোষার প্রতি তাকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। নয়তো তার অভ্যাস থেকে যেতে পারে। অনেকে ছোট বেলায় আঙুল চোষে আর বড় হয়ে নখ কাটে। এটি ভালো অভ্যাস নয়।

আঙুল চোষার কারণ নির্ণয়

শিশু কেন আঙুল চোষে সে কারণ সর্বপ্রথমে খুঁজে বের করুন। অনেক সময় শিশুরা ভয় পেয়ে আঙুল চোষা শুরু করে। আবার কখনো কখনো বিষণ্ণতা, মানসিক অবসাদ ইত্যাদির কারণেও আঙুল চোষে।

শান্ত থাকুন

আপনার সন্তান যদি ঘন ঘন আঙুল চোষে তাহলে আপনার মাথা ঠান্ডা রাখুন। রেগে গিয়ে শিশুকে মার দিলে কোনো কাজ হবে না, এর চেয়ে বরং শিশুকে এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করুন। আঙুল চোষা একটি খারাপ অভ্যাস- এ বিষয়টি আপনার সন্তানকে বোঝান।

আঙুল তিতা করে দিন

শিশুর আঙুল চোষা অভ্যাস দূর করার জন্য কার্যকরী একটি অভ্যাস হলো আঙুল তিতা করে দেওয়া। শিশুর বয়স যখন পাঁচ বছরের বেশি হবে তখন তার আঙুলে করলার রস, নিম পাতা, লেবুর রস ইত্যাদি মাখিয়ে দিন। নিম পাতা, করলার রস আঙুলে মাখিয়ে রাখলে শিশু যখন আঙুল মুখে দিবে তখন তা তিতা লাগবে।

একবার দিতা লাগলে শিশু আর মুখে আঙুল ঢুকাতে চাইবে না। এভাবে বেশ কয়েকদিন আঙুলে তিতা জাতীয় কিছু লাগিয়ে রাখলে কিংবা তিতা ওষুধ লাগিয়ে রাখলে শিশুর অভ্যাস পরিবর্তন হয়ে যাবে।

অন্যদিকে শিশুকে ব্যস্ত রাখুন

শিশু যখন আপনার সামনে খেলবে কিংবা বিচরণ করবে তখন নিশ্চয় সে আঙুল মুখে দিবে। অকারণে শিশুকে না বকা দিয়ে আপনি তার এই অভ্যাস পরিবর্তন করানোর জন্য তাকে অন্য কাজে ব্যস্ত রাখুন।

শিশুকে ছবি আঁকায় উৎসাহিত করুন

শিশুরা ছবি আঁকতে খুব ভালোবাসে। আপনার শিশুকে ছবি আঁকার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করুন। তাহলে সে আঙুল চোষা বাদ দিয়ে আঁকাআঁকিতে ব্যস্ত থাকবে। ছবি আঁকায় ব্যস্ত থাকার ফলে তার সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে এবং আঙুল চোষার অভ্যাস থেকে সে বেরিয়ে আসতে পারবে। শুধু তাই নয়।

সময় বেঁধে দিন

আপনার শিশুকে আঙুল চোষার ব্যাপারে সময় বেধে দিন। নির্দিষ্ট সময় পর থেকে সে যেন আর আঙুল না চোষে সে ব্যাপারে সতর্ক করুন। আঙুল চোষার অভ্যাস এক দুই দিনে যাবে না। এর জন্য সময় প্রয়োজন। তাই অকারণে ধৈর্য্য হারা না হয়ে শিশুকে সময় দিন। প্রয়োজনে রুটিন করে কাজ করুন। কোন দিন শিশু আঙুল চোষে রা কোনদিন চোষে না তার একটি ছক তৈরি করুন।

লেখক – Rikta Richi

Source - Parenting Guide