সন্তানের প্রতি মায়েদের যেমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকে, তেমনই বাবারও দায়িত্ব থাকে। সন্তানের সুখ, সমৃদ্ধি, সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার পেছনে বাবার অবদানের শেষ নেই।

সহজ কাজগুলোর দায়িত্ব

বাবা হিসেবে আপনার নবজাতক শিশুর সহজ কিছু দায়িত্ব আপনি পালন করুন। সন্তানকে নিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করা, সন্তানের কাঁথা ও পোশাক পরিবর্তন করা, সন্তানের কান্না থামানো ইত্যাদি কাজগুলো করুন।

ওষুধ গ্রহণ

সন্তান জন্মের পর আপনার স্ত্রী ও সন্তানের কোনো জরুরী ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার নিয়মাবলী, সময়সূচী ইত্যাদি আপনি তাদের স্মরণ করিয়ে দিন। নতুন মা অনেক ব্যস্ততার ফাঁকে ওষুধ খেতে ভুলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি মনে করিয়ে দিলে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

বিছানা প্রস্তুত ও স্ত্রীর প্রতি খেয়াল

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিছানা প্রস্তুতের কাজ আপনি করুন। সারাদিন আপনার স্ত্রী নানা কাজ করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আপনি যদি বিছানা গোছানো ও প্রস্তুতের দায়িত্ব নেন, তাহলে তার স্বস্তি হবে। তাছাড়া স্ত্রীর প্রতি খেয়াল রাখুন। তার কোনো ওষুধের দরকার আছে কিনা, কোনো কিছু খেতে ইচ্ছে করছে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখুন।

ডেলিভারির পদ্ধতি

আপনার গর্ভবতী স্ত্রীর সাথে আগে থেকে আলোচনা করে নিন কোন পদ্ধতিতে ডেলিভারি করালে তার সুবিধা হবে। প্রথমে সিজার করানো উচিত হবে কিনা। ডেলিভারির সময় রক্ত লাগতে পারে। তাই আগে থেকে দুইজন রক্ত দাতার সন্ধান করে রাখতে হবে। কোন হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা দেওয়া হয় সেসব আগে থেকে জেনে নিন। প্রতিটি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে ভাবুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।

ডায়াপার ব্যাগে কী কী থাকে তা জানুন

আপনার স্ত্রীর ডেলিভারির আগে ডেলিভারি ব্যাগ গুছিয়ে দিন। সেই সাথে জানুন ডায়াপার ব্যাগে কী কী থাকে তা সম্পর্কে। ডায়াপার ব্যাগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম, ডায়াপার র‍্যাশ ক্রীম, অতিরিক্ত মোজা, প্ল্যাস্টিক ব্যাগ, ন্যাপকিন, অতিরিক্ত পোশাক, কম্বল ইত্যাদি থাকে।

এসব জিনিসপত্র সুন্দর করে গুছিয়ে ডায়াপার ব্যাগে রাখুন। বাবা হওয়ার আগে থেকে সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল হোন।

স্ত্রীর সাথে কাজ ভাগাভাগি করে নিন

শিশুর জন্মের পর থেকে তাকে অনেক আদর যত্ন করে লালন পালন করতে হয়। সাধারণত শিশুকে বড় করে তোলার, লালন পালন করার সব দায়িত্ব থাকে মায়েদের ওপর। তবে সচেতন বাবা হিসেবে আপনারও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

বাড়ির পরিবেশকে শিশুর উপযোগী করুন

আপনার সন্তানের বেড়ে ওঠার পেছনে নিরাপদ পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার বাড়ির পরিবেশকে নিরাপদ করুন।

শিশু যেন নির্ভয়ে হামাগুড়ি দিতে পারে, হাঁটতে পারে তা নিশ্চিত করুন। বাড়ির চারপাশকে ধুলোবালি মুক্ত রাখুন এবং কোনো ধারালো বস্তু এখানে সেখানে ফেলে রাখবেন না।

লেখক – Rikta Richi

তথ্যসূত্রঃ প্যারেন্টিং গাইড.লাইফ