১. ডেঙ্গু ভাইরাস হলো সিঙ্গেল স্ট্রেন্ড আর এ এন এ (RNA) ভাইরাস এবং এটি চার রকমের হয়ে থাকে, ডেঙ্গু ভাইরাস ১- থেকে ডেঙ্গু ভাইরাস -৪ (DENV 1-4)। এর মধ্যে ডেঙ্গু ভাইরাস -৩ বেশি বিপজ্জনক কারণ এর আক্রমণে হেমোরেজিক কমপ্লিকেশন বেশি হয়।

২. প্রথমবার ডেঙ্গু আক্রান্তের লক্ষণগুলো মোটামুটি টিপিক্যাল হয়ে থাকে। অস্বাভাবিক মাত্রার জ্বর, গা ব্যাথা, পেট ব্যাথা, বমি, লুজ মোশন, দূর্বলতা। কিন্তু সেই রোগী যদি দ্বিতীয়বার আবার অন্য টাইপের ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন তখন তার প্রেসেন্টেশন পুরোপুরি টিপিক্যাল নাও হতে পারে। সেটা অবশ্য বড় কথা নয়।

৩. দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু আক্রমণে ডেঙ্গু ফিভার এর চেয়ে ভয়ানক বিপজ্জনক ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার হবার আশংকা বেশি। আর এতে ইন্টারনাল ব্লিডিং হয়ে রোগীর হাইপোভলউমিয়া হয় এবং রোগী মারা যেতে পারে কোন প্রকার এলার্মিং ছাড়াই।

৪. ডেঙ্গুতে ব্লিডিং হয় রক্তনালির মাইক্রোলিকেজ হয়ে। ডেঙ্গু ভাইরাসের আক্রমণে রক্ত কোষ থেকে নির্গত হয় নানা ইনফ্ল্যামেটরি মেডিয়েটর যেমন টিউমার নেক্রোসিস ফ্যাক্টর-আলফা, ইন্টারলিউকেন- ৬-৮, গামা-ইন্টারফেরন, অক্সিজেন রেডিকেল, ইলাসটেজ, ডেঙ্গু ভাইরাস নন স্ট্রাকচারাল এন্টিজেন -১ (DENV NS-1)। এই ইনফ্লামেটরি মেডিয়েটরগুলো রক্তনালির অন্তর্গাতে মাইক্রোলিকেজ তৈরি করে যার মাধ্যমে রক্তের রক্তরস (প্লাজমা) বের হয়ে যায়।

৫. ডেঙ্গু জ্বরে কেবল প্যারাসিটামল ঔষধ খেতে হয়। আর ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার সন্দেহ হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। কারণ শরীর থেকে মাইক্রোলিকেজের মাধ্যমে ব্লাড বেরিয়ে যাবার কারণে রোগীকে স্যালাইন বা রক্ত দেয়ার প্রয়োজন পড়ে।

৬. ডেঙ্গু ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার হয়েছে। তবে সেটা যারা একবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে কেবল তাদেরকেই দেয়া যেতে পারে।

তথ্যসূত্রঃ মা ও শিশুর স্বাস্থ্যবার্তা