আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা স্বাস্থের ব্যাপারে অনেক অনেক উদাসীন। 

যেমন ঠান্ডা জ্বর / পেটে ব্যাথা সহ অন্যান্য সাধারণ সমস্যা হয়েছে নিজে নিজে ঔষধ কিনে খাবে কিন্তু ডাক্তারের কাছে যাবেনা। আর যখন যায় তখন হাজার টাকা খরচ করতে হয়।

তেমনি দাঁতে (কেভিটি) গর্ত হয়েছে কোন সমস্যা নাই টুথপিক/সেইফটিপিন /ম্যাচের কাঠি/ সুইঁ আছে না!!

প্রতি বেলা খাবারের পরে টুথপিক/সেইফটি

পিন/ম্যাচের কাঠি /সুইঁ ইত্যাদি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে খাবার বের করে ২/৩ বছর পার করে দিবে।তারপর যখন দাঁতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হবে তখন ডাক্তারের শরনাপন্ন হবে।

সবকিছু পরিক্ষা নিরিক্ষা করে ডাক্তার যখন বলবে আপনার দাঁতের সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে।

এখন দাঁত রাখতে হলে অনেক টাকা খরচ করতে হবে। তখনই বিধি বাম ডাঃ ভালো না, ডাঃ ডাকাত, দাঁত রাখতে হাজার হাজার টাকা চায়!!!ইত্যাদি ইত্যাদি।

কিন্তু যখন দাঁতের গর্ত ছোট ছিল মানে শুরুর দিকে, মানে ঐ যে আপনি যখন খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ময়লা বের করতে প্রতি বেলা খাবারের পরে।

তখন যদি অল্প টাকা খরচ করে একটা ভালো ফিলিং করিয়ে নিতেন তা হলে আজ এত কস্ট করতে হতনা।

আমরা একটু সচেতন হলেই অনেক অর্থ ও কষ্ট থেকে বেঁচে যেতে পারি। যেমন ধরেন কোন দাঁতে বা দুই দাঁতের মাঝখানে খাবার আটকে গেলে/কোন দাঁতে সামান্য শিরশির অনুভূতি প্রকাশ পেলে ডেন্টিস্টের কাছে শরনাপন্ন হওয়া।

যেমন গতকাল আমাদের কাছে একজন রোগী প্রচন্ড দাঁত ব্যাথা নিয়ে আসে। আমরা রোগীর মুখে খুবই ছোট (পিন পয়েন্টেড) একটা( কেভিটি) গর্ত দেখতে পাই।

কিন্তু এক্স রে করে দেখতে পাই দাঁতে পাল্পাইটিস হয়ে গেছে।পাল্পাইটিস হয়ে যাওয়া দাঁতের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। বিধায় রোগী আর দাঁত রাখার চিকিৎসা নিতে পারলেন না।

অগত্যা আামাদের দাঁতটাই ফেলে দিতে হল।

যদি তিনি আরো আগে আমাদের কাছে আসতেন তাহলে অতি অল্প টাকায় ও অল্প সময়ের মধ্যে চিকিৎসা করা সম্ভব হত।

তাই অন্তত ৬ মাস অন্তর অন্তর আপনার ডেন্টিস্টের কাছে পরামর্শ নিন।