ডিমে প্রাকৃতিক ভাবেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। সকাল বেলা জল খাবারে একটি সেদ্ধ ডিম খেলে ৬ গ্রামের বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়।ডিমের প্রোটিন হলো সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ও সর্বোচ্চ বায়োলজিকাল ভ্যালু সমৃদ্ধ প্রোটিন, যার মধ্যে মানব দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সবগুলো এমাইনো এসিড বিদ্যমান। তাই ডিমকে রেফারেন্স প্রোটিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই ডিম যেকোনো বয়সের মানুষ খেতে পারে নিশ্চিতে।

##ছোট বাচ্চাদের প্রতিদিন ১ টি ডিম খাওয়ালে এবং অতিরিক্ত চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করলে বাচ্চারা হেলদি উচ্চতা লাভ করবে ও খর্বকায় হওয়া প্রতিরোধ করা যাবে।

## ডিমে এছাড়াও বেশ কিছু উপকারি ফ্যাটি অ্যাসডি, ভিটামিন এ, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান মজুত থাকে, যা ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট ও ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখার পাশাপাশি শরীরের আরও নানা উপাকারে লাগে।

##কমপক্ষে ৬ মাস বাচ্চাদের প্রতিদিন ১ টি ডিম খাওয়ালে বাচ্চাদের উচ্চতার তারতম্য দৃষ্টিগোচর হবে বলে পিডিয়াট্রিক গবেষকরা জানান।

##এছাড়াও ডিমে আছে উচ্চ প্রোটিন, ভিটামিন বি-১২, ফসফরাস, কোলিন, ভিটামিন ডি যা হাড়কে শক্তিশালী করে। তাই অনেক পুষ্টিবিজ্ঞানী মনে করেন ডিম আমাদের শরীরের জন্য খুব দরকারি।

## ডিমের কোলেস্টেরল হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।সেদ্ধ ডিমে শরীরের জন্য উপকারী মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড চর্বি আছে। এগুলো স্যাচুরেটেড ফ্যাটকে সরিয়ে দিয়ে তার স্থান দখল করে এবং রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে ফেলে। ফলে হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। হার্টের জন্য উপকারী এই চর্বি গুলো ইনসুলিনও নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তের চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। বিশেষ করে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের জন্য এধরণের ফ্যাটগুলো খুবই উপকারী।সেদ্ধ ডিমের দুই তৃতীয়াংশই এ ধরণের উপকারী ফ্যাট দিয়ে গঠিত।

##শক্তি যোগায়: - একটি বড় সেদ্ধ ডিমে প্রায় ৮০ ক্যালরী আছে। এর মধ্যে ৬০% ক্যালরী আসে চর্বি থেকে। ফলে সকালের জল খাবারে একটি মাত্র সেদ্ধ ডিম খেলে সারাদিন শক্তি পাওয়া যায় এবং দূর্বলতা হ্রাস পায়। তবে কেউ যদি ক্যালরী কাট-ছাট করতে চান তাহলে ডিমের কুসুমটা না খেয়ে কেবল মাত্র সাদা অংশটা খান। তাহলে ডিমের ক্যালরী অর্ধেকেরও বেশি কমে যাবে।

##চোখের স্বাস্থ্য: - ডিমের একটি প্রধান খাদ্য উপাদান হলো ভিটামিন এ। ভিটামিন এ রেটিনায় আলো শুষে নিতে সহায়তা করে, কর্নিয়ার পাশের মেমব্রেনকে রক্ষা করে এবং রাতকানার ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন সকালে একটি সেদ্ধ ডিম খেলে খাবার তালিকায় ৭৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ যুক্ত হয়।

##হাড় গঠন: - সেদ্ধ ডিমে আছে ভিটামিন ডি যা হাড় ও দাঁত শক্ত করে। ভিটামিন ডি খাবার থেকে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে সহায়তা করে এবং রক্তের ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে শরীরের হাড়ের কাঠামো মজবুত ও শক্ত হয় এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ হয়। প্রতিদিন সকালের জল খাবারে একটি সেদ্ধ ডিম খেলে ৪৫ আন্তর্জাতিক ইউনিট ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।

তথ্যসূত্রঃ মা ও শিশুর স্বাস্থ্যবার্তা