১.নিয়মিত ব্যায়াম: 

সারাজীবন সুস্থ, অ্যাকটিভ থাকতে নিয়মিত ব্যায়াম করা অপরিহার্য। তাই, ছোটবেলা থেকে আপনার সন্তানের মধ্যে ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আর শিশুদের জন্য ব্যায়াম মানে কঠোর এক্সারসাইজ কিছু নয়। এই যেমন, বিকালে হাঁটতে নিয়ে যাওয়া, বাসায় লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা।

২. খেলাধুলা করা:  সুস্থ, সবল থাকতে ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার চর্চা থাকা উচিত। এজন্য আপনার সন্তানকে খেলাধুলার সাথে থাকতে দিন। স্কুলের খেলার টিমে ওকে ভর্তি করিয়ে দিন।

৩. পুষ্টিকর খাবার খাওয়া: সুস্থ ভাবে বড় হতে পুষ্টিকর খাবারের বিকল্প নেই। এজন্য ছোটবেলা থেকেই আপনার সন্তানকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৪. পর্যাপ্ত পানি পান:  শিশুরা ছোটাছুটি বেশি করে। এতে ওদের শরীর থেকে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। এজন্য অভিভাবক হিসেবে আপনার সন্তানকে প্রচুর পানি পান করার অভ্যাস গড়ান। এই অভ্যাস ওকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

৫. খাওয়ার আগে হাত ধোঁয়া: শিশুদের হাত প্রতিদিন নানা কিছুর সংস্পর্শে আসে। আর সেখানে রোগের জীবাণু থাকা অসম্ভব কিছু নয়। তাই, আপনার সন্তানকে প্রতিবার খাবার খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করান। এতে আপনার সন্তান থাকবে সুস্থ, অসুখ মুক্ত।

৬. প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করা:  আপনার সন্তানকে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা শিখান। এতে দাঁত ব্যথা, দাঁত ক্ষয়ে যাওয়াসহ অনেক রোগ হওয়ার সম্ভবনা কমবে। আপনার সন্তানও অ্যাকটিভ থাকবে।

৭. পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো:  আপনার সন্তানের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ঘুম অত্যন্ত দরকারি। তাই ছোটবেলা থেকেই ওকে সময়মতো ঘুমুতে যাওয়ার অভ্যাস করান।

তথ্যসূত্রঃ মা ও শিশুর স্বাস্থ্যবার্তা