কাশি হলেই কাশির সিরাপ খাওয়াবেন না !!ডাঃ অমৃত লাল হালদার

শিশু বিশেষজ্ঞ 

বারডেম জেনারেল হাস্পাতাল,ঢাকা।

ইদানিং বাচ্চাদের কাশি নিয়ে অনেক মা আমার কাছে আসছেন। বেশিরভাগ মা তার বাচ্চাকে কোন না কোন কাশির সিরাপ খাওয়াচ্ছেনশিশুদের শ্বাসতন্ত্র খুব নাজুক আর অতি সংবেদনশীল। তাই হিমেল হাওয়ায় বা আবহাওয়ার পরিবর্তনে তাদের চট করেই কাশি হয়ে যায়। সাধারণ এই কাশিতে অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই পাড়ার দোকান থেকে কিনে নেন কাশির ওষুধ। আর দিনে দু-একবার দু-তিন চামচ করে খাওয়াতে থাকেন।

কিন্তু এতে কি শিশুর ক্ষতি হতে পারে? হ্যাঁ,হতেই পারে। কারণ,সব কাশিই এক নয়,কাশির রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ধরন আর ভিন্ন ভিন্ন কারণ, আর তার জন্য অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন ওষুধ। আর যেকোনো ওষুধের মাত্রা বয়সভেদে নয়,ওজন অনুযায়ী দেওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়ালে মাত্রা সঠিক নাও হতে পারে।

সাধারণ বাজার-চলতি কফ সিরাপগুলো শিশুদের শরীরে খিঁচুনি,ঝিমুনি,অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন,কিডনি ও লিভারের ক্ষতিসহ নানা সমস্যা তৈরি করে।

শিশুদের জন্য বহুল ব্যবহৃত সালবিউটামল সিরাপ একটু বেশি মাত্রায় দিলেই অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন ও শরীরে কাঁপুনি হতে পারে।

কাশি হলেই কাশির সিরাপ খাওয়াবেন না।।

কাশি হলেই কাশির সিরাপ খাওয়াবেন না।।

আবার অনেক কাশির সিরাপে হাইড্রোকার্বন থাকে। মূলত বুকব্যথা ও কাশি দমনে এটা ব্যবহৃত হয়। কিন্তু হাইড্রোকার্বন একধরনের নারকোটিক,যা শিশুদের জন্য ক্ষতিকর।

বড়দের কফ সিরাপের অনেক উপাদান যেমন: গুয়াইফেনেসিন,সিউডোএফিড্রিন,ট্রাইপোলিডিন,ডেক্সট্রো মেথরপেন ইত্যাদিও কমবেশি থাকে শিশুদের অনেক সিরাপে। এসব উপাদান শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক।

অনেকে আবার বাড়িতে থাকা বড়দের কফ সিরাপ একটু কম পরিমাণে বা কম মাত্রায় শিশুদের খাইয়ে দেন। এটিও গুরুতর ভুল।

তাই আপনার বাচ্চার মঙ্গলের জন্য এখনি সতর্ক হউন।।